সুদানে শিক্ষক হত্যার দায়ে ২৯ গোয়েন্দার মৃত্যুদণ্ড
৩১ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৫:৫২ পিএম | আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:২৯ পিএম

টাইমস আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সুদানের স্বৈরশাসক ওমর আল বশিরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালীন সেখান থেকে এক শিক্ষককে গোয়েন্দা হেফাজতে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার দায়ে ২৯ কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। আহমেদ আল খায়ের (৩৬) নামে ওই শিক্ষককে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে বিচারক সাদক আবদেল রহমান সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) তাদেরকে ফাঁসির আদেশ দেন।
১৯৮৯ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন।
এ বছরের শুরুতে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হলেও পরে তা স্বৈরশাসক বশিরের পদত্যাগের দাবিতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে পরিণত হয়।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের হিসাবে সুদানের বিক্ষোভে অন্তত ১৭৭ জন নিহত হয়েছেন। বিক্ষোভের সুযোগ নিয়ে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী। তবে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে বশির ক্ষমতা ছাড়লেও সুদানের বিক্ষুব্ধ মানুষ পথ ছাড়েনি। পরে গত আগস্টে সামরিক ও বেসামরিক মিলিয়ে দেশটির ক্ষমতা ভাগাভাগি প্রশ্নে একটি অন্তর্বর্তী কাউন্সিল গঠিত হয়।
সুদানের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ কাসসালাতে গত ফেব্রুয়ারিতে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করার পর গোয়েন্দা হেফাজতে ব্যাপক মারধর করা হয়। পরে ৩৬ বছর বয়সী শিক্ষক আহমেদ আল খায়ের ওই কারাগারে মারা যান। বিষক্রিয়ায় খায়েরের মৃত্যু হয়েছে বলে তার পরিবারকে এ তথ্য জানায় নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা। তবে কিছুদিন পর এক তদন্তে বেরিয়ে আসে ওই শিক্ষককে প্রচণ্ড মারধর ও নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার শিক্ষক হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় গোয়েন্দা হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনকারী কর্মকর্তাসহ ২৯ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন বিচারক। রায় ঘোষণার সময় আদালতের বাইরে অনেকে জাতীয় পতাকা এবং অন্যরা আহমেদ আল খায়েরের ছবি নিয়ে দোষীদের মৃত্যুদণ্ড দেয়ায় উল্লাস প্রকাশ করেন।
ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও ৪ গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। তবে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পান ৭ জন। অন্যদিকে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
বিভাগ : বিশ্ব
- ফ্যাসিবাদের মত কঠিন রোগ সড়াতে পেরেছি, তামাক দূর করতে পারব না কেন?: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
- সন্ত্রাস এবং মাদক থেকে দূরে রাখতে হলে যুব সমাজকে খেলাধুলায় উদ্ধুদ্ধ করতে হবে :মনজুর এলাহী
- রায়পুরায় দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
- নরসিংদী -৩ (শিবপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী মনজুর এলাহীর গণসংযোগ
- বিএনপি সংঘাত-সন্ত্রাসের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না :ড. মঈন খান
- বর্তমান সংবিধান সাধারণ মানুষের সংবিধান নয় : সারোয়ার তুষার
- শিবপুরে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করল চাচাতো ভাইয়েরা
- পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের অভিযান
- চাঁদাবাজ ও খুনীদের বাংলার মসনদে আর দেখতে চাই না: সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম
- ক্ষমতার লোভে একের পর এক ভুয়া ভোট করেছিল আওয়ামী লীগ: ড. মঈন খান
- ফ্যাসিবাদের মত কঠিন রোগ সড়াতে পেরেছি, তামাক দূর করতে পারব না কেন?: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
- সন্ত্রাস এবং মাদক থেকে দূরে রাখতে হলে যুব সমাজকে খেলাধুলায় উদ্ধুদ্ধ করতে হবে :মনজুর এলাহী
- রায়পুরায় দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
- নরসিংদী -৩ (শিবপুর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী মনজুর এলাহীর গণসংযোগ
- বিএনপি সংঘাত-সন্ত্রাসের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না :ড. মঈন খান
- বর্তমান সংবিধান সাধারণ মানুষের সংবিধান নয় : সারোয়ার তুষার
- শিবপুরে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করল চাচাতো ভাইয়েরা
- পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের অভিযান
- চাঁদাবাজ ও খুনীদের বাংলার মসনদে আর দেখতে চাই না: সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম
- ক্ষমতার লোভে একের পর এক ভুয়া ভোট করেছিল আওয়ামী লীগ: ড. মঈন খান