ফিফা রেফারি হতে চান নরসিংদীর তাহমিনা

১৫ জুন ২০১৯, ০৬:৩১ পিএম | আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৬ পিএম


ফিফা রেফারি হতে চান নরসিংদীর তাহমিনা
তাহমিনা আক্তার

সাহিলুর রহমান :
সবে মাত্র দশম শ্রেণীর ছাত্রী। খেলেন জেলা নারী ফুটবল দলের হয়ে। এই পর্যন্ত দুইবার জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পেয়েছেন। যদিও মা’র অনুমতি না মেলায় ক্যাম্পে যোগ দেয়া হয়নি তার। সেই মেয়েটি এখন থেকেই স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশ থেকে ফিফা রেফারি হওয়ার।


নরসিংদী’র রায়পুরা উপজেলার কিশোরী তাহমিনা আক্তারের দেখা মিলল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আয়োজিত ওমেন রেফারি রিফ্রেশার্স কোর্সে। সেখানেই ‘নরসিংদী টাইমস’কে নিজের জীবনের নানা বাক বদলের গল্পের সাথে জানালেন স্বপ্নের কথা। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে বড় তাহমিনার বাবার নাম রহিম মিয়া। নরসিংদীর ভোটার হলেও স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন ঢাকার উত্তরায়। পড়েন ‘দক্ষিণখান এমারত হোসেন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে’। মানবিক বিভাগে পড়–য়া এই শিক্ষার্থীর আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।


বাংলাদেশের বাস্তবতায় মেয়েদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করা জটিল। তারচেয়েও বেশি কঠিন খেলাধুলা চালিয়ে নেয়া। ফুটবলার হলে লড়াইটা আরও তীব্র। বিশেষ করে যারা জাতীয় দলের ক্যাম্পের বাইরে আছেন। ঘরোয়া লিগ নিয়মিত হয় না। যে কারণে বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশন-বিজেএমসি পর্যন্ত তাদের দল প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা ভাবছে। সেখানে অন্যদের কথা বলাই বাহুল্য। ফলে মেয়েদের ফুটবল চালিয়ে নেয়াটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু পরিবারের সাহস ও সহযোগিতার কারণে স্বপ্নের আঙিনাটা বেড় চওড়া তাহমিনার।


জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা যে কোন অ্যাথলেটেরই স্বপ্ন থাকে। কিন্তু দুইবার ডাক পেয়েও ক্যাম্পে যোগ না দেয়ায় কোন আক্ষেপ আছে কিনা? এমন প্রশ্নে বিব্রত না হয়ে জোরালো কন্ঠেই জানালেন, ‘ডাক না পেলে আক্ষেপের প্রশ্ন আসত, কিন্তু আমিতো ডাক পেয়েছি, আমার আক্ষেপ কিসের’। খেলোয়াড় হিসেবে এখন অনেকদিন মাঠে থাকতে পারেন কিন্তু এই বয়সেই কেন রেফারিংকে পছন্দ করছেন? জানালেন, খেলার চেয়েও এই বিষয়টি তাকে বেশি টানে। এর আগেও ২০১৭ সালে একবার মহিলা রেফারি রিফ্রেশার্স কোর্সে অংশ নিয়েছিলেন। তখনই মূলত এর প্রতি আকর্ষণ তৈরি হয়। সে আকর্ষণটা এখন আরও বড় হয়ে স্বপ্নে পরিণত হয়েছে নরসিংদীর এই কিশোরীর।


বিভাগ : খেলা