বাফুফের অনূর্ধ্ব-১৫ জাতীয় দলে ডাক পেলেন নরসিংদীর সাদিব খান

০৮ এপ্রিল ২০১৯, ০৪:৩১ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৮ এএম


বাফুফের অনূর্ধ্ব-১৫ জাতীয় দলে ডাক পেলেন নরসিংদীর সাদিব খান

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
চলতি বছর অনুষ্ঠেয় সাফ ও এএফসি ’র বয়স ভিত্তিক টুর্নামেন্ট অনূর্ধ্ব-১৫ ও ১৮’র জন্য চূড়ান্ত দল গঠনের লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদী অনুশীলন ক্যাম্প শুরু করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ৬১ জনের দলে আছেন নরসিংদীর সন্তান আসওয়াদ খান সাদিব। অনূর্ধ্ব-১৫ দলে ৩২ ও অনূর্ধ্ব-১৮ তে জায়গা করে নিয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ২৯ জন তরুণ ফুটবলার।


শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে বাফুফে ভবনে ছিলো তরুণ এই ফুটবলারদের রিপোর্টিং। সেখানে ছেলেকে নিয়ে গিয়েছিলেন একসময় ঢাকার মাঠ কাঁপানো ফুটবলার ওয়ালিদ খান। সেখানেই নরসিংদী টাইমসকে জানান, শুধু খেলাধুলা নয় পড়াশোনায়ও প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছে সাদিব। নরসিংদীর স্বানামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এনকেএম’র অষ্টম শ্রেণীতে পড়–য়া সাদিবকে তার প্রতিষ্ঠানও সমানভাবে উৎসাহ দিচ্ছে। সেকারণেই দেশের প্রতিভাবান তরুণদের সঙ্গে লড়াই করে নিজের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ পাচ্ছে সাদিব।
সাফ অ-১৫ ও অ-১৮ এবং এএফসি অ-১৬ ও অ-১৯ এর জাতীয় দল গঠনের লক্ষ্যে চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী প্রতিভা অন্বেষণ কার্যক্রম শুরু করে বাফুফে। পুরো দেশকে সাতটি অঞ্চলে ভাগ করে ৩০০ তরুণকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করা হয়। তিন নম্বর অঞ্চলে ছিল নরসিংদী ছাড়াও ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, কুমিল্লা, হবিগঞ্জ, মোলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও সিলেট। মোসলেহউদ্দীন ভূঁইয়া জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বাছাইয়ে নরসিংদী’র সাথে অংশ নেয় কিশোরগঞ্জ জেলা। সে বাছাইয়ে ১৫ বিভাগে মো: সাদিব খান, মো: ইউসুফ, তৌহিদুল আলম এবং ১৮ বিভাগে নিপু, মো: ফরহাদ মিয়া, মো: ইয়াসিন মিয়া রাজিব ও মো: তানজিদ হোসেন জায়গা করে নিয়েছিলেন। পরে চূড়ান্ত বাছাইয়ে একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে টিকে যান স্ট্রাইকার সাদিব খান।


সাদিবের বাবা ওয়ালিদ খান ছিলেন একসময় ঢাকার ফুটবলের দাপুটে স্ট্রাইকার। কিন্তু ইনজুরি বাধায় পরবর্তী সময় সেভাবে নিজেকে আর মেলে ধরতে পারেন নি। ১৯৯৮ সালে জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখার পুরস্কার হিসেবে ১৯৯৯ ও ২০০০ সালে জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পান। দু’বারই ইনজুরি তাকে ছিটকে দেয়। সে অপূর্ণতা থেকেই সন্তানকে নিয়ে আসেন ফুটবলে। বাবাকে হতাশ করেন নি সাদিব। নরসিংদী টাইমসে ওয়ালিদ খান জানান, সন্তান আপন আলোয় নিজেকে মেলে ধরতে পারলেই বাবা হিসেবে নিজেকে স্বার্থক মনে করবেন।
এদিকে, স্কুল কর্তৃপক্ষও বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বলে জানান, এনকেএম’র প্রধান শিক্ষক মো: শাহজাহান। পড়াশুনার ব্যাপারে তাদের কঠোর নজরদারি থাকলেও সহশিক্ষা কার্যক্রমে কেউ প্রতিভার স্বাক্ষর রাখলে প্রতিষ্ঠান থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

 


বিভাগ : খেলা


এই বিভাগের আরও