রায়পুরায় নৌকাডুবি: তিনদিন পর নিখোঁজ নারীর লাশ উদ্ধার

২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৩:১৫ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩০ এএম


রায়পুরায় নৌকাডুবি: তিনদিন পর নিখোঁজ নারীর লাশ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক:
 
নরসিংদীর রায়পুরার মির্জারচরে ঝড়ের সময় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ কমলা বেগম (৪৫) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে দুর্ঘটনার তিন দিন পর তাঁর লাশ উদ্ধার করলো নৌ ফাঁড়ি ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মির্জারচর নৌ পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. দেলোয়ার হোসেন।
 
এর আগে গত রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার মির্জারচর ইউনিয়নের মির্জারচর গ্রামে মেঘনা নদীতে হঠাৎ ঝড়ে নৌকা ডুবে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় মির্জারচর গ্রামের আক্তার মিয়ার ছেলে উজ্জ্বল মিয়া (২৫) ও শামীম মিয়ার মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (৫) নামের দুজন প্রাণ হারান। ওই দিন পার্শ্ববর্তী চরমধুয়া ইউনিয়নের সমীবাদ গ্রামের সাপ্তাহিক হাটে বাজারসদাই শেষে মোট সাতজন ওই ছোট নৌকায় বাড়ি ফিরছিলেন। 
 
নিহত কমলা বেগম রায়পুরার মির্জারচর ইউনিয়নের মির্জারচর গ্রামের আলী হোসেনের স্ত্রী। ঘটনার দুদিন আগে পার্শ্ববর্তী সমীবাদ গ্রামে মেয়ের বাড়িতে বেরাতে গিয়েছিলেন তিনি। বেরানো শেষে দুর্ঘটনা কবলিত ওই নৌকায় স্বামীর বাড়িতে ফেরার পথে ঝড়ে নৌকাডুবি হলে তিনি নিখোঁজ হন।  
 
নৌ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা জানান, রায়পুরা উপজেলার চরমধুয়া ইউনিয়নের সমীবাদ গ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ওই নৌকাটির গন্তব্য ছিল একই উপজেলার মির্জারচর ইউনিয়নের মির্জারচর গ্রাম। নদীপথে এর দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার আর ইঞ্জিনচালিত নৌকায় সময় লাগে পাঁচ মিনিটের মতো। ঘটনার দিন মোট সাতজন যাত্রী নিয়ে নৌকাটি গন্তব্যের কাছাকাছি পৌঁছার পরই হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়লে সেটি ডুবে যায়। এ সময় পার্শ্ববর্তী আরও কয়েকটি নৌকার যাত্রীরা ঝড়ের মধ্যেই তাঁদের পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করেন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান উদ্ধার হওয়া উজ্জ্বল। পরে ঘটনার প্রায় ২০ ঘণ্টা পর অর্থাৎ সোমবার বিকেলে শিশু সুমাইয়া খাতুনের লাশ উদ্ধার করা হয়। সর্বশেষ ঘটনার ৬১ ঘণ্টা পর নৌ ফাঁড়ি ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা নিখোঁজ কমলা বেগমের লাশ উদ্ধার করতে সমর্থ হন। 
 
মির্জারচরের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জাফর ইকবাল মানিক জানান, গত রোববার রাতের ওই নৌকাডুবির ঘটনায় মোট সাত যাত্রীর মধ্যে তিনজনই নিহত হলেন। নিহতদের মধ্যে উজ্জ্বল মিয়া সাপ্তাহিক ওই হাটে বাজারসদাই করতে এবং কমলা বেগম ও সুমাইয়া খাতুন স্বজনদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন।


এই বিভাগের আরও