পাচারের পর শ্রম শোষণ: ৮ মাস পর নরসিংদীর বালক রাঙ্গামাটি থেকে উদ্ধার

১৫ মে ২০১৯, ০১:০২ পিএম | আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০২ পিএম


পাচারের পর শ্রম শোষণ: ৮ মাস পর নরসিংদীর বালক রাঙ্গামাটি থেকে উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
নরসিংদীর রায়পুরা থেকে ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়ে রাঙ্গামাটির বরকলে জোরপূর্বক মাছ ধরার কাজে (শ্রম শোষণ) নিয়োজিত করার ৮ মাস পর এক বালককে উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাঙ্গামাটি থেকে খোকন আলী (২৭) নামে এক আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত খোকন আলী রাঙ্গামাটির বরকলের কুরকটিছড়ি গ্রামের মৃত আক্কাছ আলীর ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী খোকন পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে টাকার বিনিময়ে ওই বালককে কিনে নেয়ার কথা স্বীকার করেছে।
বুধবার (১৫ মে) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে নরসিংদীর পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান।


পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ৮ মাস আগে রায়পুরা উপজেলার নলবাটা গ্রামের মৃত আলমগীর হোসেনের ছেলে, স্থানীয় একটি মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্র ফজর রহমান সাব্বিরকে (১৩) প্রলোভন দেখিয়ে চট্রগ্রাম নিয়ে যায় পাচারকারী দলের এক অজ্ঞাত সদস্য। ট্রেনযোগে চট্রগ্রামে নেয়ার পর সেখানে সাব্বিরকে নাজিম নামে একজনের নিকট হস্তান্তর করা হয়। পরদিন নাজিম মাদ্রাসা ছাত্র ফজর রহমান সাব্বিরকে খোকন আলী নামে একজনের নিকট বিক্রি করে দেয়। পরে আসামী খোকন আলী বরকলের কুসুমতলী এলাকায় সাব্বিরকে জোরপূর্বক মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত করে। একাধিকবার সাব্বির সেখান থেকে কৌশলে পালানোর চেষ্টা করলে খোকন আলী তাকে মারপিট করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আটক করে রাখে অন্যান্যদের সাথে মাছ ধরার শ্রম শোষণের কাজে নিয়োজিত রাখে।


নিখোঁজের একমাস অতিবাহিত হওয়ার পর সাব্বির কৌশলে খোকন আলীর মোবাইল ফোন দিয়ে তার মা বিলকিস বেগমকে ফোন করে ঘটনার বিবরণ দেয়। পরে ওই নাম্বারে ফোন দিয়ে ছেলের খোঁজ জানতে চাইলে মা বিলকিস বেগমকে জানানো হয় সাব্বিরকে সে টাকার বিনিময়ে কিনে নিয়েছে এবং তাকে ফেরত দেয়া যাবে না। ছেলেকে ফেরত পাওয়ার বিভিন্ন চেষ্টা চালিয়েও তাকে না পেয়ে মা বিলকিস বেগম নরসিংদীর পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত আবেদন করেন। আবেদন জানানোর পর পুলিশ সুপারের নির্দেশে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এর উপ-পরিদর্শক জাকারিয়া সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে রাঙামাটি থেকে অপহৃত সাব্বিরকে উদ্ধার ও আসামী খোকন আলীকে গ্রেপ্তার করে।


আসামী খোকন মাছ ধরার মৌসুমে দালাল চক্রের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অল্প বয়সী ছেলেদের নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন নৌকায় মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত করার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।



এই বিভাগের আরও