ময়লার ভাগাড়ে পরিণত রায়পুরা পৌর গোলচত্বর

১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০৩:০৭ পিএম | আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:০৮ পিএম


ময়লার ভাগাড়ে পরিণত রায়পুরা পৌর গোলচত্বর
পৌরসভার নির্ধারিত ময়লা-আর্বজনা ফেলার স্থান না থাকায় চত্বরটিতে ফেলে রাখা হয় ময়লা আবর্জনা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক
অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থেকে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে রায়পুরা পৌর গোলচত্বর। অবাধে ময়লা ফেলা ও পোস্টার ব্যানারের দখলদারিত্বের কারণে চত্বরটি এখন সৌন্দর্যের বদলে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, পৌরসভার নির্ধারিত ময়লা-আর্বজনা ফেলার স্থান না থাকায় চত্বরটিতে অবাধে ফেলে রাখা হয় অপচনশীল পলিথিন ব্যাগ, অব্যবহৃত জিনিসপত্র, দোকানের মেয়াদ উত্তীর্ণ ও উচ্ছিষ্ট খাবার। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুনের দখলে চত্বরটি হারাচ্ছে সৌন্দর্য। অল্প বৃষ্টি বা বাতাসে এখান থেকে ছড়িয়ে পড়ছে র্দুগন্ধ। জমে থাকা ময়লা-আর্বজনার স্তূপ থেকে সৃষ্ট দুর্গন্ধ বাতাসে মিশে গিয়ে বাড়ছে জনদুর্ভোগ। এতে করে আশেপাশের পরিবেশ দূষণসহ নষ্ট হচ্ছে চত্বরের সৌন্দর্য্য।
পথচারীরা জানান, সারাক্ষণ পঁচা গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসে, আর বৃষ্টির পর রোদের তাপে দুর্গন্ধের মাত্রা কয়েকগুন বেড়ে যায়। পলিথিন ব্যাগসহ বিভিন্ন পণ্যের মোড়ক ময়লা-আর্বজনা বাতাসের সাথে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
রায়পুরা উপজেলা উদীচী সংসদের সভাপতি মহসিন খোন্দকার বলেন, গোল চত্বরটি রায়পুরার প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত হওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষের প্রথমেই দৃষ্টিগোচরে আসে। এতে করে উপজেলার বাইরের দর্শনাথীদের কাছে আমাদের পৌরসভার সুনাম নষ্ট হচ্ছে। অতিদ্রুত চত্বরটি সংষ্কারের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মরণে একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করে স্থানটি স্বাভাবিক পরিবেশে ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।
যোগাযোগ করা হলে রায়পুরা পৌরসভার মেয়র জামাল মোল্লা বলেন, চত্বরটির পাশে গড়ে উঠা ফলের ব্যবসায়ীরা তাঁদের দোকানের উচ্ছিষ্ট্য ময়লা-আর্বজনা ফেলে রাখার কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পৌরসভার লোকবল দিয়ে ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন অপসারণ করা হলেও নিময় না মেনে রাতের আঁধারে আবারও লাগানো হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়াসহ চত্বরটি নিমার্ণের জন্য চলতি মাসে দরপত্র আহবান করা হবে। চত্বরটির নামকরণ করা হবে ‘স্বাধীনতা চত্বর’ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদের স্মরণে চত্বরটিতে একটি ভাষ্কর্য নিমার্ণ করা হবে।



এই বিভাগের আরও