রায়পুরায় মাদক সেবনে বাঁধা দেয়ায় বৃদ্ধের বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ

০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:৫২ পিএম | আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৪ এএম


রায়পুরায় মাদক সেবনে বাঁধা দেয়ায় বৃদ্ধের বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ

রায়পুরা প্রতিনিধি:

নরসিংদীর রায়পুরায় মাদক সেবনে বাঁধা দেয়ার জেরে আবদুল খালেক (৭০) নামে এক বৃদ্ধের ঘরে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার মাদকসেবী বখাটেদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় সোমবার ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধ রায়পুরা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এর আগে রোববার রাত আনুমানিক ২টায় উপজেলার উত্তরবাখর নগর ইউনিয়নের লোচনপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী আবদুল খালেক লোচনপুর এলাকার বাসিন্দা ও অভিযুক্তরা একই এলাকার নূর নবীর ছেলে আল-আমিন, আফসুর উদ্দিনের ছেলে আহসান উল্লাহ, শাহজাহানের ছেলে শাহ-আলম ও সিরাজ মিয়ার ছেলে ইমরান মিয়া।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগীর বাড়ির আঙ্গিনায় দীর্ঘদিন যাবত জুয়া এবং মাদক সেবনের সাথে সম্পৃক্ত কতিপয় বখাটেরা বিভিন্ন ধরনের অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিল। ওই বৃদ্ধ এসব ঘটনার প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে গত দুই দিন ওই বৃদ্ধের সাথে বখাটেদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বৃদ্ধাকে লাঠি নিয়ে তাড়া করে বখাটেরা। এরপর থেকে ওই বৃদ্ধকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল তারা। ভুক্তভোগী তার পরিবারের লোকজনকে এ ঘটনাটি জানান। এ বিষয়টি লোকমুখে জানাজানি হলে বখাটেরা ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন হুমকি দেয়।

প্রতিবেশি হাবিবুর রহমান বলেন, কয়েক বছর যাবত এই বখাটেরা বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা করে আসছিল।

ভুক্তভোগীর ছেলে বলেন, বাবা একা বাড়িতে থাকেন। কৃষি কাজ করে উপার্জিত অর্থ এবং ধান, চাল ছিল ঘরে। তারা ঘরে থাকা জিনিসপত্র ও অর্থ লুট করে আগুন লাগিয়ে চলে যায়। আগুনে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়েছে। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান এবং মেম্বারকে জানিয়েছি। অপরাধীদের খোঁজে বের করে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

ভুক্তভোগী আবদুল খালেক বলেন, বখাটেরা বাড়ির পাশে মাদকসেবনসহ অনৈতিক কর্মকান্ড করলে আমি বাঁধা দেই। এর জেরে রোববার রাত ২টায় সময় বখাটেরা ঘরে আগুন লাগিয়েছে। আমি ও আমার পরিবার জীবনের নিরাপত্তায় ভুগছি। তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

রায়পুরা থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক জহিরুল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি এবং তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।



এই বিভাগের আরও