সারকারখানায় গ্যাস সংযোগের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ

২০ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৪:৪১ পিএম | আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:৪৪ এএম


সারকারখানায় গ্যাস সংযোগের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল ও পলাশ ইউরিয়া সারকারখানায় গ্যাস সংযোগের দাবীতে ১২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার কারখানার গেইটে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পলাশ-ঘোড়াশাল সারকারখানার সিবিএ ও আঞ্চলিক শ্রমিকলীগের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি আমীনুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন, বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক আল-মুজাজিদ হোসেন তুষার। এসময় বক্তৃতা করেন, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন মৃধা, স্থানীয় কাউন্সিলর কবির হোসেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার চংদার, সিবিএ সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, পলাশ সারকারখানার সভাপতি হুমায়ুন কবীর, সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল আলী মন্ডল, ঘোড়াশাল সারকারখানার অফিসার্স কল্যাণ সমিতির সভাপতি ড. মহিউদ্দীন, সিবিএ নেতা আলী আজহার, ইউরিয়া সারকারখানা স্কুল এন্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ সেলিনা আক্তার জাহান, পাইকসা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আজিজুন্নাহার প্রমুখ। সকাল থেকে শ্রমিক কর্মচারীরা কর্মবিরতি দিয়ে স্ব স্ব কারখানার ভেতরের মেইন গেইটে সমবেত হয়ে মিছিল সহকারে কারখানার আউট গেটে আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন। আলাচনায় বক্তারা বলেন, পলাশ ও ঘোড়াশাল সারকারখার স্থানীয় প্রায় ৩০ হাজার বাসিন্দাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার সারের চাহিদা মিটানোসহ কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রেখে চলছে। এই কারখানার উৎপাদিত সার আমদানীকৃত সারের চেয়ে উৎকৃষ্ট মানের হওয়ায় এর চাহিদাও ব্যাপক। কারখানা দুটিতে এ বছরের ১৭ এপ্রিল থেকে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় তিতাস কর্তৃপক্ষ। এরফলে কারখানার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ কমপ্রেসার, টারবাইন, রিয়েক্টর, ভেসেল, মেশিনারীজ ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি করোশন ইরোশন জনিত কারণে ধ্বংস হচ্ছে। কারখানা দুটিতে গ্যাস সংযোগ দিতে বিলম্ব হলে এই কারখানা দুটি স্থায়ীভাবে বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বক্তারা আরো বলেন, গ্যাস সংযোগের দাবীটি জাতীয় সমস্যা হিসেবে ও দেশের কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং কারখানার কোটি কোটি টাকার ইকুই্পমেন্ট সমূহকে নিশ্চিত ক্ষয়ক্ষতির হাত হতে রক্ষা করার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে গ্যাস সংযোগ দেয়া প্রয়োজন। এসময় শ্রমিকরা তাদের মজুরী স্কেল ঘোষণা ও বাস্তবায়নের দাবী উত্থাপন করেন। এসময় কারখানা দুটির সর্বস্তরের শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকতা, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ীগণ উপস্থিত ছিলেন।


এই বিভাগের আরও