প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল করে ক্লাব নির্মাণ!

১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ০২:২৯ এএম | আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৮ পিএম


প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি দখল করে ক্লাব  নির্মাণ!

নরসিংদী সদর উপজেলায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের এক পাশ দখল করে ত্রাণের টিনে কাব নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্কুলের মাঠের পাশের ওই জমি স্কুলের শহীদ মিনারের জন্য রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপ। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের হস্তপে চেয়ে গত ৯ ডিসেম্বও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক রাবেয়া খাতুন একটি চিঠি দিয়েছেন।
উপজেলা শিা অফিসারের মাধ্যমে পাঠানো এ চিঠিতে বলা হয়েছে, নরসিংদী সদর উপজেলার ৬৭ নম্বর চৌয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের দণি-পশ্চিম কোনায় স্কুলের জমিতে জোর করে কাব তৈরি শুরু করে স্থানীয় কয়েকজন যুবক। তারা স্কুলের সীমানা প্রাচীর ভেঙে গত ৭ ডিসেম্বর কাবের ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে। স্কুল কর্তৃপ বাধা দিলে তারা মতার বলে অসঙ্গতিপূর্ণ আচরণ করে, ভয়ভীতি দেখায় এবং হুমকি দেয়। পরে ১১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সেই কাবঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে এবং সেখানে কাজ করছে স্থানীয়রা। এভাবে স্কুলের মাঠে ভবন নির্মাণ করায় স্কুলের শিার্থীদের চলাফেরা ও খেলাধুলা বিঘিœত হচ্ছে বলে চিঠিতে অভিযোগ করা হয়। এ অবস্থায় স্কুলের সীমানা নির্ধারণ এবং কাবঘর নির্মাণ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
চিঠিটি পাওয়ার পর নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এইচ এম জামেরী হাসান ‘জরুরী ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের জায়গাটি রার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ নিতে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবগত করেন।
অভিযোগের বিষয়ে ৬৭ নং চৌয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক রাবেয়া খাতুন বলেন, “এখানে কাবের জন্য ঘর বানানো শুরু করলে প্রথমে আমরা তাদের বাধা দেই। কিন্তু বাধা শোনেনি। বিষয়টি আমাদের উর্দ্ধতন কর্তৃপকে জানিয়েছি। তাদের পরামর্শে উপজেলা নির্বাহী মহোদয় বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছি। আর কাবঘরে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের ত্রাণের টিন ব্যবহার করা হয়েছে।”
বিষয়টি জানতে চাইলে নরসিংদী সদর উপজেলা প্রাথমিক শিা কর্মকর্তা মো. আবুল ফজল জানান, স্কুলের কমিটির লোকজন শিা অফিসে এসেছিল। “স্কুলের জমিদাতা এবং স্কুল কমিটির সভাপতি এসেছিলেন। তারা বলেছেন এটা সরিয়ে নেবেন।”

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান বলেন, ‘ইউএনও স্যারের লিখিত নির্দেশ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। সেখানে জমি সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হাসান বিষয়টি মীমাংসার দায়িত্ব নিয়েছেন।’

চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হাসান বলেন, ‘বিদ্যালয়ের সভাপতি কাজগপত্র নিয়ে আসার পর দেখলাম বিদ্যালয়ের জায়গা হচ্ছে ৩০ শতাংশ। যা তাদের রয়েছে। আর কাবের সদস্যরা তাদের নিজস্ব জায়গায়ই কাবঘর নির্মাণ করেছে। যেহেতু কাবঘরটি বিদ্যালয় লগোয়া সেহেতু এই জায়গাটি বিদ্যালয়ের হলে ভাল হত। এ লক্ষ্যে আমরা চেষ্টা করছি যেহেতু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি আমাদের সেহেতু তারা যেন এই জায়গাটুকু বিদ্যালয়কে দিয়ে দেয় সে ব্যাপারে আমরা কথা বলছি।’
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এইচ এম জামেরী হাসান বলেন, সংশ্লিষ্টদের কাগজপত্র চেয়ে তলব করেছি। এগুলো যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর কাবঘরে ত্রাণের টিন ব্যবহারের সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



এই বিভাগের আরও