মাধবদীতে নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকে পড়ে তিনজন নিহত

২৭ জুন ২০২২, ০৯:৫৪ পিএম | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৩ পিএম


মাধবদীতে নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকে পড়ে তিনজন নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীর মাধবদীতে নির্মাণাধীন একটি মাদ্রাসায় কাজ করার সময় সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যাওয়া যন্ত্র তুলতে গিয়ে ২ শ্রমিকসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মাধবদী থানার নুরালাপুর ইউনিয়নের গদাইরচর এলাকার আছিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার ওই সেপটিক ট্যাংক থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

এই দুর্ঘটনায় নিহত তিনজন হলেন, মাদ্রাসাটিতে কাজ করতে আসা স্যানেটারি মিস্ত্রি জাহিদ (৩০), রং মিস্ত্রি বায়েজিদ (২২) ও আনিস (১৬)। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকাল থেকে একদল শ্রমিক ওই মাদ্রাসায় নির্মাণ সংক্রান্ত কাজ করছিলেন। বিকেল ৪টার দিকে কাজ করার একপর্যায়ে জাহিদ নামের এক শ্রমিকের হাত থেকে ব্যবহার্য একটি যন্ত্র ওই সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে পড়ে যায়। তিনি ওই যন্ত্র উদ্ধারের জন্য ঢাকনা সরিয়ে একটি ঝুলন্ত মোটা দড়ির সাহায্যে ওই সেপটিক ট্যাংকে নামেন। কিন্তু তিনি আর উঠে আসছিলেন না। কাছাকাছি থাকা শ্রমিক বায়েজিদ ঘটনাটি দেখে তিনিও ওই দড়ির সাহায্যে সেখানে নামেন। সেখানে নেমেই তিনি চিৎকার শুরু করেন। একপর্যায়ে চিৎকারও থেমে যায়। পরে তাদের উদ্ধারের জন্য আনিস নামের আরেকজন ওই সেপটিক ট্যাংকে নামেন। কিন্তু তাদের কেউই উঠে আসছিলেন না।

উপস্থিত স্থানীয় লোকজন সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে তিনজন আটকে থাকার ঘটনাটি মাধবদী ফায়ার সার্ভিস কার্যালয়ে জানান। খবর পেয়ে নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দুইজনের লাশ ও একজনকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার আনিসকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পরপরই জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম জানান, নিহত দুজনের লাশ মাধবদী থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে জমে থাকা বিষাক্ত গ্যাসের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

ঘটনাস্থলে থাকা মাধবদী থানার সহকারী উপপরিদর্শক ফয়েজ আহম্মদ জানান, নিহত দুজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে আরও একজনের লাশ মর্গে পাঠানো হয়। নিহত তিনজনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তারা আসার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



এই বিভাগের আরও