ঘুরে বেড়ানোর ইচ্ছে : লাদাখ-কাশ্মীর।
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৮:৫৩ এএম | আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৪ এএম
আমার যত ঘুরাঘুরি : লাদাখ-কাশ্মীর
কবি বলেছেন -ভূ-তলে থাকে যদি কোন স্বর্গ--এই সেই এই সেই এই সেই।।---কবির কল্পনায় অনেক অসুন্দর ও সুন্দর হয়ে যায়। কালোমেঘের মধ্যে কল্পনা করেন প্রিয়ার কালো চুল। নারীর সৌন্দর্যের সাথে প্রকৃতির যে তুলনা এটা কবির কল্পনায়। তেমনি কাশ্মীর শুধু কি কল্পনা? নাকি বাস্তবিকই ভূস্বর্গ তা দেখার সাধ আমার অনেক দিনের।
ছোটবেলার বইয়ের পাতায় পড়া এই স্বর্গ যে বাস্তবেও কখনো দেখতে পাবো সেটা তখন ভাবিনি।কিন্তু আমার প্রানের আকুতি ছিল দারুনভাবে। আসলে আল্লাহর কাছে একাগ্রচিত্তে কিছু চাইলে আল্লাহ তা পূরণ করেন বলেই আমার মনে হয়।
এতবছরের লালিত স্বপ্ন পূরণ করার বাসনায় এবার সিদ্ধান্ত নিলাম কাশ্মীর যাবো। এমনটা যখন ভাবছিলাম তখনই আল্লাহ সুযোগ করে দিলেন।আমার বরের ট্রেনিং পড়লো ভারতের ফরিদাবাদ। আমার আনন্দ আর দেখে কে? আমি সোমাপা(ঢাকা ইউনিভার্সিটির ডেপুটি ডাইরেক্টর) আর তমাল ভাইয়ের (প্রেসিডেন্ট ক্লাব ৮৯', বিশিষ্ট ব্যবসায়ী।
যার এক পা বিদেশেই থাকে)সাথে যোগাযোগ করলাম।উনারা দুজনেই আমার বরের ইউনিভার্সিটির ফ্রেন্ড। আমাদের খুবই প্রিয়ভাজন তারা। প্রথমে একটু আপত্তি করলেও পরে আমার ধমক খেয়ে রাজি হলেন দুজনেই পরিবারসহ যেতে। এটা ছিল আমাদের জন্য একটা দারুন খুশীর খবর। কারন আমি আমার প্রিয় একটা গ্রুপ নিয়ে যেতে পারছি।
আমি জোরসে প্রস্তুতি নিতে শুরু করলাম। এর আগে ইন্ডিয়ার কোন কোন জায়গার খাবারে কেমন গন্ধ পেতাম তাই খেতে পারতাম না। সেই ভয়ে এবার আমি চাল,ডাল,তেল,নুন,মরিচ,পেয়াজ,মশলাদি সব পুটুলি বেধে নিলাম। বর সাথে থাকলে পারতাম না।ছিলনা বলে রক্ষা।
দিনটি ছিল ২০১৭ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি। বর চলে গেলেন আগেই ১১ ফেব্রুয়ারিতে। আমি বাচ্চাদের নিয়ে জেট এয়ারলাইনস এ করে চলে গেলাম দিল্লিতে। সেখান থেকেই টেক্সি নিয়ে ফরিদাবাদ। সোমাপা আর তমাল ভাইরা যাবে ১৬ তারিখ দিল্লিতে। আর আমরা লাদাখ যাব ১৮ তারিখ।
ফরিদাবাদে হোটেল 'ভাইব ললিতে' ছিল তারা। ফোর স্টার হোটেল। আমাদের হোটেল খুজে পেতে কোন সমস্যাই হয়নি। হোটেল পেতে কোন সমস্যা না হলেও সমস্যা হয়েছে আমার বরকে খুজে পেতে। গিয়েই তাকে পাবোনা এটা জানতাম। কারন তখন তাদের সেশন থাকবে ফরিদাবাদ রাজস্ব ভবনে বোধ হয়।সেটা তিনটা পর্যন্ত।
আমরা পৌঁছালাম ১২টায়। হোটেলের রিসিপশনে সফি বলে গিয়েছিল তাই রুম পেতে সমস্যা হয়নি।আমরা অপেক্ষা করতে লাগলাম কখন তিনটা বাজবে। কিন্তু তিনটা বেজে চারটা বাজে ৫টা বাজে ৬ বাজে উনার কোন খবর নেই। রাগে যন্ত্রনায় ছটফট করে করে আমরা যখন ঘুমিয়ে পড়লাম তখন উনি এলেন কোনরকমের অনুশোচনা ছাড়াই।
এসে জানালেন সেশনের পর আউটিং ছিল তারপর সবাই শপিংয়ে গেছে তাই তাকেও যেতে হলো কারন একা আসতে পারবেনা। (সে যদিও শপিং করা পছন্দ করেনা,আমাকে নিয়ে শপিংয়ে গেলে মার্কেটের এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকে বলবে তুমি কিনে নিয়ে এসো)। তাকে আমাদের নিয়ে কখনো টেনশনে বা অস্থিরতা বোধ করতে দেখিনি। বলে তুমিতো একাই একশো। জানি পারবা।
১৬ ফেব্রুয়ারি আমি আমার ছোট ভাই আর বাচ্চাদের নিয়ে খুব সকালেই দিল্লি চলে আসি।ফরিদাবাদ যাওয়া আসার পথ খুবই সুন্দর আর পরিচ্ছন্ন। খুবই ভালো লাগছিলো। ফেব্রুয়ারি বলে আবহাওয়াটাও চমৎকার ছিল। ফরিদাবাদ অডি গাড়ী,ল্যাম্বরগিনি,মার্সিডিজ বেঞ্জ বি এম ডাব্লিউর শোরুম আছে।আমার ছেলেমেয়ে দুজনই সারাপথ কে কতটা দামী গাড়ী দেখতে পেল সারাক্ষণ এই হিসেব করতে করতেই আমরা দিল্লি চলে এলাম।
দিল্লি এসে সোমাপা আর তমাল ভাইকে পেতেই সন্ধ্যা হয়ে গেল। সেদিন আর কোথাও বের হইনি যেহেতু পরদিন সকালে আমাদের দিল্লী জামে মসজিদে যাবার ইচ্ছে। দিল্লি জামে মসজিদে আমি আগেও গিয়েছি। তখন ছিল রাত।এবার যাব দিনের বেলা।
ভাগ্যক্রমে সেদিন ছিল শুক্রবার। আর সোমাপা বললেন,নিপু চলো আমরা নামাজ পড়বো এখানে। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিভিন্ন দেশের হাজারো মুসলিম এখানে নামাজ পড়তে এসেছে। আমার ভাই আর মেয়ে চলে গেছে দিল্লি রেড ফোর্ট দেখতে। তাদের কাছে রেড ফোর্ট অনেক ভালো লেগেছে। আর আমার আফসোস এর শেষ নেই।নামাজ পড়ে সেখানেই রেস্টুরেন্ট থেকে লাঞ্চ করে আমরা যখন হোটেলে এলাম তখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে। এর কিছুক্ষন পরই বর চলে এলো ফরিদাবাদ থেকে।
দিল্লীতে দুইরাত থেকে পরদিন ১৯ ফেব্রুয়ারি খুব সকালে আমরা রওনা দিলাম সেই কাংখিত স্বর্গ দর্শনে। স্পাইস জেটে করে আমাদের দেড় ঘন্টার মতো সময় লেগেছে লেহ এয়ারপোর্টে পৌঁছাতে। লেহ এয়ারপোর্ট সম্পূর্ণ ম্যাগনেটিক। অবাক চোখে দেখতে দেখতে এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে দেখি আমাদের জন্য হোটেল থেকে নির্ধারিত গাড়ী অপেক্ষা করছে। আমাদের হোটেলের নাম ছিল 'জেন লাদাখ'। এটিও ফোর স্টার।
১৪ হাজার ফিট উপরে এ হোটেল যখন পৌঁছালাম। মুগ্ধতায় ডুবে গেলাম।এ যে অন্যরকম একটা জগৎ। এত সুন্দর?নিজস্ব ঐতিহ্যের উত্তরীয় দিয়ে হোটেলে আমাদের বরন করে নিল এবং আমাদের সম্মানে সেদিনের লাঞ্চ ফ্রি করে দিল। ঠিক হলো আমরা একেবারে লাঞ্চ করেই রুমে যাবো। হোটেলের বিশাল রুম। বাথরুম। অতিরিক্ত ঠান্ডা থাকে বলে রুম আর বাথরুমের ফ্লোর ও হিটার দেয়া।
কে জানতো তখন একটু পরেই অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য কষ্টের কিছু। আমাদের আনন্দ বিলীন হয়ে যেতে বসেছে যখন জানলাম শুভ ভাইয়ার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। উনাকে অক্সিজেন দেবার ব্যবস্থা করা হলো। আমি ঘুরে ঘুরে দেখছি আর ছবি তুলছি। আমার মনে হচ্ছিল পৃথিবীটা ঘুরে দেখার মতো আনন্দ আর হয়না। হোটেল ম্যানেজার জানিয়ে দিয়েছেন আজ শুধু রেস্ট নিতে হবে। কাল থেকেই শুরু হবে মূল ঘুরাঘুরি। সাইট সী-ইং।
সেই মোতাবেক আমরা আড্ডা দেবার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আর তখনি শুরু হলো আমারও শ্বাসকষ্ট। আমার হার্টের একটু প্রব্লেম আছে। সিড়ি ভাংতে পারিনা। আর তাই আমরা ভাবলাম হয়তো তারজন্য কিছু হয়েছে। রিসিপশনে যোগাযোগ করলে তারা জানালো এখানে অধিক উচ্চতার জন্য অক্সিজেনের ঘাটতি হয়। এতে করে শরীর দূর্বল হয়ে যায় বা শ্বাসকষ্ট হয়।আমার জন্যে ও চলে এলো সিলিন্ডার। (বড় আকারের)। হরিষে বিষাদ। ভয় পেয়ে গেলাম কি থেকে কি হয়।
আস্তে আস্তে প্রায় সবাই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।আমার বরের নাক দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করলো। বাচ্চারা বমি করতেছে। ছেলে রাইয়ানের জ্বর এলো। কি এক হিজিবিজি অবস্থা। আর এর মধ্যেই ট্রাভেল গাইড এসে দিলেন আরেক দুঃসংবাদ। আমার বর হোটেল ছেড়ে বাইরে যেতে পারবেন না। কারন হিসেবে জানালেন তার ভিসা নেই।লে হালুয়া।তারা জানেইনা যে সরকারী কর্মকর্তাদের ভিসা লাগেনা।লাগে জিও।আর লাদাখ ঢুকতে লোকাল গভঃ এর অর্ডার লাগে।(গভঃঅর্ডার)আর সেটা না থাকলে সে এই পর্যন্ত গেল কিভাবে? বিষয়টি তাদের কিছুতেই বুঝানো গেলো না।তারা আমার বরকে আটকিয়ে দিল।আমরাতো হা হয়ে গেলাম। এটা কি করে হয়।পরে চিন্তা করে দেখলাম ওরাতো আর আমাদের যাওয়া আসার সময় মুখ চিনে রাখবেনা।কোন সমস্যা হবেনা। তাকে নিয়েই যাবো।আল্লাহর রহমতে কোন সমস্যা পরে আর হয়ওনি।
পরদিন সকালে প্রথমেই গেলাম মনেস্ট্রিতে।(বৌদ্ধদের উপাসনালয়)বরফের উপরে প্যাচানো রাস্তা দিয়ে ঘুরে ঘুরে যখন উপরে উঠছিলাম তখন মনে হচ্ছিল-পৃথিবীটা এত সুন্দর কেন?মনেস্ট্রি থেকে ফেরার পথে গেলাম থ্রি ইডিয়টস এ দেখানো সেই স্কুলে।স্কুলটা আমার খুব খুব খুবই ভালো লেগেছিল।পরিচ্ছন্ন ছিমছাম স্কুল। মনটাই ভালো হয়ে যায়। পরের দিন খুব সকালে রওনা দিলাম সংগাম এর উদ্দেশ্যে। এখানে সিন্ধু আর ঝংকার নদী মিলিত হয়ে অন্য আরেকটি নদীর রুপ নিয়েছে। যাবার পথে শুধু সাদা বরফ আর বরফ।কি যে সুন্দর লাগছিল।মাঝে মাঝে বরফকনা বৃষ্টির মতো এসে আমাদের ঢেকে দিচ্ছিল। পথেই ম্যাগনেটিক পাহাড় দেখলাম। গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ করে দেবার পরেও কিভাবে টেনে নিয়ে গেল দেখলাম।খুবই অবাক হলাম।আমি ভাবতেছিলাম আমাদের দেশে একটি বরফের পাহাড় থাকলে কত্ব ভালো হতো। গাড়ী থেকে নেমে আমরা ছবি উঠালাম।এবং আবারও গাড়ীতে উঠলাম সংগম যাবার উদ্দ্যেশ্যে। এমন বিপদজনক পথ-অনেক উঁচুতে আমরা আর কত নীচে যে খাদ।সাদা বরফের উপর দিয়ে কালো সাপের মতোই এঁকেবেঁকে চলেছে। আমি ভয়ে কখনো চিতকার করে উঠি আবার বিস্ময়ে কখনো হতবাক হই।সেই পাহাড় বেয়ে ঘুরে ঘুরে অবশেষে আমরা নীচে নেমে এলাম।জনমানবহীন এ প্রান্তরে এসে উপরের দিকে তাকিয়ে আমার মনে হয়েছিল -হায় আল্লাহ,এখন আমরা যাব কি করে।যদি কোন বিপদ হয় কেউতো জানবেওনা।আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম সেখানে নদীর পানি বরফ হয়ে গিয়েছিল।তার একদিকে ছিল চায়না সীমান্ত আর অন্যদিকে ইন্ডিয়া বর্ডার। ছবি তুলেছি অনেক কিন্তু আসল সৌন্দর্য ক্যামেরাতে ধরা পড়েনা।অবশেষে বিপদজনক পথ পেরিয়ে আবার যখন সমান্তরালে এলাম আর ধূয়ার মতো ভাসমান মেঘের ভেতর দিয়ে আমরা যখন ফিরে আসছিলাম তখন মনে মনে নয়, জোড়ে জোড়েই বলেছি--এই পথ যদি না শেষ হয়।
আমাদের পরিকল্পনা মতো পরেরদিন যাব পাংগং লেক দেখতে।এখানে নাকি অনেক সিনেমার শুটিং হয়েছে।সানামরে,এবিসিডি২ আরো কত কি। আমার বর আর মেয়ের সখ সেখানে যাবার।কিন্তু আমরা কেউই জানতামনা যে পরদিন আমাদের জন্য এতবড় বিস্ময় অপেক্ষা করছে।
আমরা খুব ভোরেই প্রস্তুত। অন্যরকম এক উত্তেজনা। না জানি আজ কি দেখতে পাই।সবাই হৈচৈ করে নীচে নেমে এলাম। আর এসেই শুনলাম সেই দুঃসংবাদটি।অতিরিক্ত স্নো ফলের কারনে কাশ্মীর পুলিশ পাংগাও লেক যাবার পথ বন্ধ করে দিয়েছে। কি আর করা।মন খারাপ করে বসে আছি।দিনটা নাকি আবার বিফলে যায়!!অবশেষে সিদ্ধান্ত নেয়া হলো আমরা k2 ভিউ পয়েন্ট যাবো।
আবারো সেই সরু ভয়ংকর পথ।আবারও আতংকিত যাত্রা এবং যথারীতি আমার কান্নাকাটি আর দোয়া দরুদ পড়া।আমরা দুইটা গাড়ীতে করে ঘুরেছি।পাহাড়ি পথে বড় গাড়ী চলেনা বললেই চলে।একটা গাড়ী সামনে অনেকটা এগিয়ে গেল আর আমরা বারবার পিছিয়ে পড়ি। পিছিয়ে পড়ার কারন গাড়ীর চাকা স্লীপ করছিল বরফের কারনে।গাড়ী এগুতে পারেনা।অবশেষে গাড়ীর চাকাতে মোটা লোহার শিকল পড়ানো হলো।এতে নাকি রিস্ক একটু কম হয় কারন চাকার খাজ বাড়ে।চারপাশ ভয়ংকর সুন্দর। এতটাই সুন্দর! এতই সুন্দর যে মনে হলো আমি দেখলাম। আমি ইহাকেই দেখলাম। যখনি একটু সমান পথ দেখি তখনি ভয়টা একটু কমে আসলে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে যাই।এভাবেই খাড়া পাহাড়ি পথ বেয়ে বেয়ে আমরা ১৮ হাজার ফিট উপরে উঠলাম।কিন্তু বিধি বাম।এখানেও ইন্ডিয়ান আর্মি আমাদের আটকে দিল,অতিরিক্ত বরফ পরে পথ রিস্কি হয়ে গেছে।তাই আর যাওয়া হলো না কেটু ভিউ পয়েন্টে। মনে ক্ষীন দুঃখ বোধ নিয়ে আমাদের ফিরে আসতেই হলো।ক্ষীণ বলছি এই কারনে যে আমরা এত সুন্দর কিছু দেখেছিলাম এত স্বর্গীয় কিছু যে আমরা কেটু না দেখার দুঃখ ভুলে গেলাম। আবারো ঘুরে ঘুরে পাহাড় বেয়ে নীচে সমতলে আসার পালা।নীচে নামতে গিয়ে আগেরমতো অতটা ভয় পাইনি।অবশেষে আলহামদুলিল্লাহ আমরা হোটেলে নিরাপদেই আসতে পারলাম।
পরদিন আমরা গেলাম পৃথিবীর সর্বোচ্চ মরুভূমির উপরে অবস্থিত আর্টিফিশিয়াল আইস ট্যাম্পল দেখতে।
লাদাখ দেখেআমি সোমাপাকে বলেছিলাম -আমি লাদাখ দেখেছি সোমাপা, আমার জীবনে আর কিছুই দেখার প্রয়োজন নেই।আমি মুগ্ধ,আমি অভিভূত। কিন্তু আমার সেই প্রানের লাদাখ ভালোবাসার লাদাখ আজ রাজনৈতিক কারনে ক্ষতবিক্ষত। জানিনা কবে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার বাইরোডে মানালী থেকে লাদাখ যাবার নিয়ত করেছি।আপনারা যারা এডভেঞ্চার প্রিয় আর লাদাখ যেতে চান তারা অবশ্য ই বাইরোডে যাবেন।কারন-- না দেখলে বুঝানো যাবেনা।
মাহিনুর জাহান নিপু
বিভাগ : জীবনযাপন
- শেখেরচরে ডিস ও ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১
- রায়পুরায় বালু মহালের ড্রেজার থেকে ভ্রাম্যমান আদালতকে লক্ষ্য করে গুলি
- বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে নরসিংদীতে রেস্তোরা মালিক সমিতির মানববন্ধন
- নরসিংদীতে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদযাপন
- তামাকজাত পণ্য থেকে প্রাপ্ত রাজস্বের চেয়ে চিকিৎসায় ব্যয় বেশি
- অভিযান পরিচালনা করে কারেন্ট জাল সমস্যা সমাধান করা যাবে না :মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
- অটিস্টিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ
- নরসিংদীতে ৩ দিনব্যাপী তারুণ্য উৎসব শুরু
- ঢাকার বাইরে প্রথম নরসিংদীতে রয়েল এনফিল্ড শোরুম উদ্বোধন
- শিবপুরে প্রবীণ আবাসে অনুষ্ঠিত হলো আনন্দ আয়োজন
- শেখেরচরে ডিস ও ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১
- রায়পুরায় বালু মহালের ড্রেজার থেকে ভ্রাম্যমান আদালতকে লক্ষ্য করে গুলি
- বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে নরসিংদীতে রেস্তোরা মালিক সমিতির মানববন্ধন
- নরসিংদীতে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদযাপন
- তামাকজাত পণ্য থেকে প্রাপ্ত রাজস্বের চেয়ে চিকিৎসায় ব্যয় বেশি
- অভিযান পরিচালনা করে কারেন্ট জাল সমস্যা সমাধান করা যাবে না :মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
- অটিস্টিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ
- নরসিংদীতে ৩ দিনব্যাপী তারুণ্য উৎসব শুরু
- ঢাকার বাইরে প্রথম নরসিংদীতে রয়েল এনফিল্ড শোরুম উদ্বোধন
- শিবপুরে প্রবীণ আবাসে অনুষ্ঠিত হলো আনন্দ আয়োজন