জরিমানা ছাড়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে নতুন নির্দেশনা

১৭ জুলাই ২০২০, ০২:৫৬ পিএম | আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৪ পিএম


জরিমানা ছাড়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে নতুন নির্দেশনা

অর্থনীতি ডেস্ক:

জ্বালানী খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন বা বিইআরসি আবাসিক গ্রাহকদের বকেয়া বিল পরিশোধের সুযোগ ৩১ শে জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত করার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছে। কমিশনের এক আদেশে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র আবাসিক গ্রাহক শ্রেণীর ক্ষেত্রে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুন মাসের বিদ্যুৎ বিল ৩১ শে জুলাই ২০২০-এর মধ্যে পরিশোধে বিলম্ব পরিশোধ মাশুল প্রযোজ্য হবে না।

এর আগে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত বিলের ক্ষেত্রে জুনের মধ্যে কোনো মাশুল ছাড়া জমা দেয়ার সুযোগ দিয়েছিলো। এখন কমিশন বলছে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের বিল কিছু গ্রাহক মাশুল ছাড়াই দেরীতে পরিশোধ করলেও অনেক গ্রাহকই বিল পরিশোধ করতে পারেননি। এ কারণেই ফেব্রুয়ারি থেকে জুনের বিল মাশুল ছাড়া ৩১শে জুলাইয়ের মধ্যে দেয়ার সুযোগ দেয়ার জন্য বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

এরকম পরিস্থিতি কিভাবে তৈরি হলো?
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গত ২৬ শে মার্চ থেকে দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় যে আবাসিক গ্রাহকেরা ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত ৩ মাসের বিল দেরিতে দিতে পারবেন। তখন বলা হয়, জুন মাসে বিল পরিশোধ করতে হবে এবং বিলম্বিত বিল পরিশোধে কোনো অতিরিক্ত জরিমানা নেয়া হবে না। এই পুরো সময়ে বাসাবাড়িতে বিলের কাগজ দেয়া হয়নি। বিল জমা নেয়াও বন্ধ ছিল। কিন্তু বিলের কাগজ দেয়া শুরু হলে অতিরিক্ত বিলের বহু অভিযোগ তৈরি হয়।

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গত ২৯ শে জুন বলেন, কোভিড-১৯ যখন শনাক্ত হল আমাদের এখানে বন্ধ (সাধারণ ছুটি) ঘোষণা করা হল। এলাকাভিত্তিক লকডাউন করা হল। এরপর যেগুলো ম্যানুয়াল মিটার সেগুলো সরাসরি বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য কালেকশন করাটা সমস্যা হয়ে গেলো। তিনি বলেন, অনেকের বিল অতিরিক্ত আসছে, বিভিন্ন রকম গরমিল হয়ে গেছে, কারণ তারা (মিটার রিডাররা) বিলটা সরাসরি মিটার দেখে করতে পারেনি।

অতিরিক্ত বিলের ক্ষেত্রে যা বললো বিইআরসি: যাদের অতিরিক্ত বিল আদায় করা হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল পরবর্তী মাসগুলোর বিদ্যুৎ বিলের সাথে সমন্বয় করতে হবে। মিটার রিডিং ছাড়া বিল দেয়ার কারণে গ্রাহকদের নিজস্ব স্ল্যাবের পরিবর্তে উচ্চতর স্ল্যাবের বিল দাবি বা আদায় করা হয়েছে, সেগুলো যথাযথ স্ল্যাবে বিল প্রণয়ন ও সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে। কোনো গ্রাহকের ক্ষেত্রেই একাধিক মাসের মিটার রিডিং বা বিল একত্র করে বিল দেয়া যাবে না। অতিরিক্ত ও অস্বাভাবিক বিল প্রণয়ন, দাবি ও আদায়ের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে নেয়া ব্যবস্থা কমিশনকে জানাতে হবে। (সূত্র-বিবিসি)


বিভাগ : অর্থনীতি


এই বিভাগের আরও