এলাকার জনঘনত্ব ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ভিত্তিতে ভবনের উচ্চতা নির্ধারণ হবে

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৫:৫৭ পিএম | আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২০ এএম


এলাকার জনঘনত্ব ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ভিত্তিতে ভবনের উচ্চতা নির্ধারণ হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ও ড্যাপ রিভিউ কমিটির আহ্বায়ক মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীতে এলাকার জনঘনত্ব ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ভিত্তিতে ভবনের উচ্চতা নির্ধারণ করা হবে।

স্থপতি, নগর পরিকল্পনাবিদ এবং বেসরকারি আবাসন খাত সংশ্লিষ্টসহ অন্যান্য অংশীজনের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রী বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ড্যাপ বাস্তবায়নের বিষয়ে রিয়েল এস্টেট এন্ড হাউজিং এসোসিয়েশন-রিহ্যাব ও বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভলপারস এসোসিয়েশন- বিএলডিএ-এর প্রতিনিধিবৃন্দের সাথে সভায় এসব কথা বলেন।

ড্যাপ রিভিউ কমিটির আহ্বায়ক জানান, রাজধানীতে এলাকাভিত্তিক জনঘনত্ব নির্ধারণ করে জোনভিত্তিক ভবনের উচ্চতা নির্ধারণ করা হবে। শহরের কোন অঞ্চলে কত তলা বিল্ডিং হলে মানুষ সকল নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পাবে এবং ঢাকা একটি বাসযোগ্য, আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন শহরে রুপান্তরিত হবে সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, মানুষের চলাচলের জন্য রাস্তা ও স্কুল-কলেজ, শপিংমল, হেলথ সেন্টার, খেলাধুলার মাঠ, ওয়াটার বডি, এবং সবুজায়নসহ অন্যান্য নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

এলাকাভিত্তিক হোল্ডিং ট্যাক্স, পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের চার্জ নির্ধারিত হওয়ার উপর আবারো গুরুত্বারোপ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী প্রশ্ন তুলে বলেন, অভিজাত এলাকায় বসবাসকারী এবং যাত্রাবাড়ী অথবা ওয়ারিতে বসবাসকারী মানুষ কেন সমান মূল্য বহন করবেন।

এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশেই এলাকাভিত্তিক ইউটিলিটি সার্ভিসের মূল্য নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। এটি নিয়ে সমালোচনা হলেও এ বিষয়ে আমাদের একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হবে।

মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের সকলের উদ্দেশ্য একটাই সেটি হচ্ছে ঢাকা নগরীকে বাসযোগ্য, দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক করে গড়ে তোলা। আর এজন্যই ড্যাপের মত দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তাই ড্যাপ বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শহীদ উল্লাহ খন্দকারের সভাপতিত্বে সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, রাজউকের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ শফিউল্লাহ, ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক মোঃ আশরাফুল ইসলাম, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বিএলডিএর সভাপতি আহমেদ আকবর সোবহান এবং রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিনসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


বিভাগ : বাংলাদেশ