২৪ জুন ৩২ বছরে পা রাখলেন মেসি

২৪ জুন ২০১৯, ০৮:৩০ পিএম | আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৪, ০৪:৩৬ এএম


২৪ জুন ৩২ বছরে পা রাখলেন মেসি

স্পোর্টস ডেস্ক:

কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে হলে কাতারের বিপক্ষে জিততে হতো আর্জেন্টিনার। গতকাল রোববার (২৩ জুন) সেই কাজটি ভালভাবে করেছে লিওনেল স্কালোনির দল। কাতারকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে শেষ আটে পা রেখেছে লা আলবিসেলেস্তেরা।

২৪ জুন জন্মদিনের আগে এরচেয়ে বড় ‍উপহার আর কি হতে পারতো আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরা লিওনেল মেসির জন্য! হারলেই যে ৩২তম জন্মদিনের আনন্দ মাটি হয়ে যেতো। কাতারের বিপক্ষে জয় ও মেসির জন্মদিন মিলে সুবাতাসই বইছে আকাশি-নীল ওই শিবিরে।

২৪ জুন ১৯৮৭ সালে আর্জেন্টিনার রোজারিওতে ইতালিয়ান দম্পতির এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মেসি। তার পুরো নাম লিওনেল আন্দ্রেস মেসি। ছোটবেলায় ফুটবল নিয়ে গতি ও তৎপরতার জন্য তাকে ‘দ্য ফ্লিয়া (মাছি)’ নামে ডাকা হতো।

বর্তমান বিশ্বে দ্বিতীয় ধনী ফুটবলার তিনি। মেসির নেট মূল্য ১৮০ মিলিয়ন ডলার। ২৩০ মিলিয়ন ডলার নেট মূল্য নিয়ে শীর্ষে আছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বিশ্বের এই সেরা দুই ফুটবলার সর্বোচ্চ পাঁচবার করে জিতেছেন ব্যালন ডি’অর।

ব্যক্তিগত জীবনে মেসি ২০১৭ সালে বিয়ে করেছেন শৈশবের বান্ধবী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোকে। এই দম্পতির ঘরে তিন সন্তান। থিয়াগো মেসি, মাতেও মেসি এবং সিরো মেসি।

১১ বছর বয়সে মেসির শরীরে হরমোন সমস্যা ধরা পড়ে। চিকিৎসার জন্য প্রতি মাসে ৯ হাজার ডলার দরকার ছিল তার পরিবারের। সেক্ষেত্রে হাত বাড়িয়ে দেয় স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা। মাত্র ১৩ বছর বয়সে বার্সার সঙ্গে চুক্তি করেন মেসি।

বার্সার ‘বি’ দলের হয়ে দুর্দান্ত পারর্ফম্যান্সে নজর কাড়েন মেসি। প্রথম মৌসুমেই ৩০ ম্যাচে করেন ৩৬ গোল। ১৬ নভেম্বর ২০০৩ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে বার্সেলোনার মূল দলে অভিষেক হয় মেসির। প্রতিপক্ষ ছিল এস্পানিওল। কাতালানদের হয়ে তৃতীয় কমবয়েসী খেলোয়াড় তিনি। বার্সার হয়ে সবচেয়ে কম বয়সে গোল করার রেকর্ডটি মেসির।

২০০৮ সালে ক্যাম্প ন্যুয়ের আরেক কিংবদন্তি রোনালদিনহো থেকে উত্তরাধিকার সুত্রে ১০ নাম্বার জার্সি পান মেসি। সেই থেকে ‘নাম্বার টেন’ নিয়ে মাঠ মাতাচ্ছেন তিনি।

বর্তমানে আর্জেন্টিনা ছাড়াও স্পেনের নাগরিক মেসি। ২০০৫ সালে এই নাগরিকত্ব পান তিনি। প্রস্তাব পেয়েছিলেন স্প্যানিশদের জাতীয় দলে খেলার জন্যও।

ফুটবল ছাড়াও বিভিন্ন ধাতব্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত আছেন মেসি। তিনি ইউনিসেফ’র ‘গুডউইল’ অ্যাম্বেসেডর। এছাড়া নিজের প্রতিষ্ঠান ‘লিও মেসি ফাউন্ডেশন’র প্রতিষ্ঠাতা মেসি। যেটি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে কাজ করে। যেসব লোক ‘ফ্র্যাগাইল এক্স সিনড্রোম’ রোগে আক্রান্ত তাদের নিয়েও কাজ করেন মেসি। তার জন্মভূমি রোজারিওতে শিশুদের নিয়ে কাজ করার জন্য ৬ লক্ষ ডলার ব্যয় করে একটি হাসপাতালও নির্মাণ করেছেন মেসি।


বিভাগ : খেলা


এই বিভাগের আরও