নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ হামলা: পলাশের জাকারিয়া ভূঁইয়ার পরিবারে শোকের মাতম

১৬ মার্চ ২০১৯, ০৭:২৭ পিএম | আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৪, ০৫:৫৬ পিএম


নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ হামলা: পলাশের জাকারিয়া ভূঁইয়ার পরিবারে শোকের মাতম

নিজস্ব প্রতিবেদক


নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে আল-নূর মসজিদে সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত হয়েছেন নরসিংদীর পলাশের জাকারিয়া ভূঁইয়া। জাকারিয়া পলাশ উপজেলার জয়পুরা গ্রামের আব্দুল বাতেন ভূঁইয়ার ছেলে। দুই ভাই ও তিনবোনের মধ্যে জাকারিয়া চতুর্থ সন্তান। শুক্রবার (১৫ মার্চ) তার মৃত্যুর খবরে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।


শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে নিহত জাকারিয়ার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, গণমাধ্যমে জাকারিয়া নিহতের খবরে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় স্বজনেরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন। খবর পেয়ে পরিবারটিকে শান্তনা জানাতে ছুটে আসছেন গ্রামের লোকজন।


পরিবারের সদস্যরা জানান, দীর্ঘ ৮ বছর সিঙ্গাপুরে থাকাকালীন নিউজিল্যান্ডের একটি কোম্পানীতে চাকুরি পান জাকারিয়া। আড়াই বছর আগে দেশে ফিরে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের ১৭ দিন পর নিউজিল্যান্ডে চাকুরিতে যোগদান করেন জাকারিয়া। সর্বশেষ ৬ মাস আগে দেশে ফিরে ৪০ দিনের ছুটি কাটিয়ে নিউজিল্যান্ডে যান তিনি। স্ত্রী লিনা বেগমকেও নিউজিল্যান্ডে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি শেষ করেছিলেন জাকারিয়া ভূঁইয়া। নিয়মিত নামাজ আদায়কারী জাকারিয়ার মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছেন না এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যরা। কান্নায় মূর্ছা যাচ্ছেন বাবা-মা, স্ত্রীসহ স্বজনেরা। ক্রাইস্টচার্চে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীসহ জাকারিয়ার মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার দাবী জানিয়েছেন স্বজনেরা।

নিহত জাকারিয়ার স্ত্রী লিনা বেগম বলেন, আমার স্বামীকে আমি জীবিত ফের চাই, আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দিন। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার জন্য দায়ী সন্ত্রাসীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি জানাই।

নিহত জাকারিয়ার বাবা আব্দুল বাতেন ভূঁইয়া বলেন, আমার ছেলেকে শেষবারের মতো দেখতে চাই, সেজন্য লাশটি যেন দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করে সরকার।

 

 

 



এই বিভাগের আরও