পলাশে শীতলক্ষ্যার তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলো বিআইডব্লিউটিএ

২৪ জানুয়ারি ২০১৯, ০৭:৪৩ পিএম | আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৪, ০৩:৪১ এএম


পলাশে শীতলক্ষ্যার তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলো বিআইডব্লিউটিএ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার শীতল্যা নদীর কয়েক হাজার বর্গফুট তীরভূমি দখল করে অবৈধভাবে গড়ে উঠা একাধিক পাকা স্থাপনাগুলোতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে বিআইডব্লিউটিএ। দু’দিন ব্যাপী উচ্ছেদ অভিযানের প্রথমদিনে (২৩ জানুয়ারি বুধবার) প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চরকা টেক্সটাইল মিলের পাকা স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়ার পরে দ্বিতীয় দিনে (বৃহস্পতিবার) গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে প্রাণ আরএফএল গ্রুপের মাল্টিলাইট ইন্ডাষ্ট্রিজ নামের একটি কাঠের ফার্নিচার তৈরীর কারখানার অবৈধ অংশ ও স’মিলসহ বেশ কিছু পাকা সেমিপাকা স্থাপনা। এসময় প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার (এডমিন) ফয়সাল মাহমুদকে নগদ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য্য করা হয়। এছাড়া এইচ আর ব্রিকস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক মামুনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্র্যাট মোস্তাফিজুর রহমান এর নেতৃত্বে ও নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের উপপরিচালক মোঃ শহীদ উল্লাহ এর তত্ত্বাবধানে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালতের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী পরিচালক মোঃ শাহ-আলম, বিআইডব্লিউটিএ’র মেডিকেল অফিসার ডা: জাকিরুল হাসান ফারুক, সুপারভাইজার মোঃ জিল্লুর রহমান, কারিগরি সহকারী মোঃ ইয়াসিন দেওয়ান, নুরনবী মিন্টুসহ অন্যান্য কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ। অভিযানে বিআইডব্লিউটিএ’র জাহাজ অগ্রণী, একটি এক্সাভেটর (ভেকু), একটি টাগবোটসহ বিপুল সংখ্যক উচ্ছেদ কর্মী, নৌ পুলিশ, থানা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা অংশ নেন।
বিআইডব্লিউটিএ’র উপপরিচালক মোঃ শহীদ উল্লাহ জানান, নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন নরসিংদীর পলাশ থানাধীন শীতল্যা নদীর তীরে কয়েক হাজার বর্গফুট জায়গা দখল করে প্রাণ আরএফএল গ্রুপ চরকা টেক্সটাইল মিল ও মাল্টিলাইট ইন্ডাষ্ট্রিজ নামের একাধিক কারখানা গড়ে তোলে। ওই কারখানাগুলোর একেকটি এক থেকে দেড় হাজার বর্গফুটের ছিল। এছাড়া আরো ৬/৭টি সেমিপাকা ঘর গড়ে তুলেছিল। দু’দিন ব্যপী উচ্ছেদ অভিযানে ওই সকল অবৈধ পাকা ও সেমিপাকা স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া এইচ আর ব্রিকস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক মামুনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। শীতলক্ষ্যার তীর দখলের উদ্দেশ্যে সহ¯্রাধিক বর্গফুট জমি কাঠ ও বালু ভর্তি জিওব্যাগ দিয়ে বাঁধের মতো দেয়া হয়েছিল। ওই বাঁধ ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে।
অভিযানে দায়িত্ব পালনকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নদী দখলকারীরা যত প্রভাবশালীই হোক না কেন তাদের কোন ছাড় নেই। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।



এই বিভাগের আরও